ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবজি চাষে বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত হতে চলেছে..

  • হিমাদ্রী সরদার
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৫ খবরটি দেখা হয়েছে


দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নের লাউডোব গ্রামের তপক মন্ডল ২০১৬ সালে মাস্টার্স শেষ করেছে খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের মার্কেটিং বিভাগে।চাকরি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে বাবার ৮৪ শতক জমির বসতবাড়িতে গড়ে তুলেছেন সবজির খামার।কৃষি অফিস দাকোপ,খুলনার সার্বিক সহযোগিতায় ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরির জন্য নির্মাণ করেছে জৈব সারের প্লান্ট।নিজের চাহিদা পূরণ করার পর অতিরিক্ত সার বিক্রি করছে।তাতেই বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত হতে চলেছে।বর্তমানে তার খামারে ৫০০ বেগুন গাছে বেগুনের দেখা মিলেছে।২০০ বর্ষাকালীন টমেটো গাছে ফুল ধরেছে।২০০ উচ্চে গাছে ফল দিচ্ছে।২০০ অফসিজন তরমুজ গাছ আছে।৫০ টা লাউ গাছে লাউ হচ্ছে।এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ,মরিচ,পুঁইশাক, লালশাক,ডাটা শাক,কুঁসি,ধন্দুল, ঝিঙা সহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করছে।এ বছর উৎপাদন খরচ বাদে ২ লক্ষ্য টাকার অধিক মুনাফা আয় হবে বলে ধারনা করছে।
তার সাথে কথা হয় তিনি জানান ভোর হওয়ার সাথে সাথেই খামারে যাই,বাড়ি লাগোয়া হওয়ায় সারাদিনই খামারে কাজ করি।চাকরির পিছনে ছুটে অযথা সময় নষ্ট না করে খামার করেছি।আমার খামার সম্পূর্ণ রাসায়নিক মুক্ত।আমি নিজেই জৈব সার (ভার্মি কম্পোষ্ট)এবং জৈব বালাইনাশক(নিম তেল,মেহগনি ফলের নির্যাশ এবং তামাক জল) উৎপাদন করে নিজের খামারে ব্যাবহার করে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করার চেষ্টা করছি।আমার দেখাদেখি যেকেউ চাইলে শুরু করতে পারেন,তাকে সহযোগিতা অবশ্যই করবো।

জনপ্রিয়

সবজি চাষে বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত হতে চলেছে..

আপডেট সময় : ০৮:২২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩


দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নের লাউডোব গ্রামের তপক মন্ডল ২০১৬ সালে মাস্টার্স শেষ করেছে খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের মার্কেটিং বিভাগে।চাকরি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে বাবার ৮৪ শতক জমির বসতবাড়িতে গড়ে তুলেছেন সবজির খামার।কৃষি অফিস দাকোপ,খুলনার সার্বিক সহযোগিতায় ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরির জন্য নির্মাণ করেছে জৈব সারের প্লান্ট।নিজের চাহিদা পূরণ করার পর অতিরিক্ত সার বিক্রি করছে।তাতেই বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত হতে চলেছে।বর্তমানে তার খামারে ৫০০ বেগুন গাছে বেগুনের দেখা মিলেছে।২০০ বর্ষাকালীন টমেটো গাছে ফুল ধরেছে।২০০ উচ্চে গাছে ফল দিচ্ছে।২০০ অফসিজন তরমুজ গাছ আছে।৫০ টা লাউ গাছে লাউ হচ্ছে।এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ,মরিচ,পুঁইশাক, লালশাক,ডাটা শাক,কুঁসি,ধন্দুল, ঝিঙা সহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করছে।এ বছর উৎপাদন খরচ বাদে ২ লক্ষ্য টাকার অধিক মুনাফা আয় হবে বলে ধারনা করছে।
তার সাথে কথা হয় তিনি জানান ভোর হওয়ার সাথে সাথেই খামারে যাই,বাড়ি লাগোয়া হওয়ায় সারাদিনই খামারে কাজ করি।চাকরির পিছনে ছুটে অযথা সময় নষ্ট না করে খামার করেছি।আমার খামার সম্পূর্ণ রাসায়নিক মুক্ত।আমি নিজেই জৈব সার (ভার্মি কম্পোষ্ট)এবং জৈব বালাইনাশক(নিম তেল,মেহগনি ফলের নির্যাশ এবং তামাক জল) উৎপাদন করে নিজের খামারে ব্যাবহার করে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করার চেষ্টা করছি।আমার দেখাদেখি যেকেউ চাইলে শুরু করতে পারেন,তাকে সহযোগিতা অবশ্যই করবো।