বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।
ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্ট এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’
‘যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান, মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সকল পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম, এমনকি উন্নত দেশগুলির স্বল্পসংখ্যক দেশে স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪টি জেলার ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে। আজকে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে বেলজিয়ামে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে। শিগগিরই দেশের ৮০টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় এসব মিশনে দ্রুত ই-ভিসা কার্যক্রম শুরুর আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্।
এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ সাহানারা খাতুন, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ডেপুটি ডাইরেক্টর এবং বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামে পৌঁছে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।