বাংলার ইতিহাসে গত ৮৬ বছরে যতো জন জন্ম নিয়েছেন, তাঁদের মাঝে একজনই হয়েছেন বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃত গ্লোবাল সেলিব্রেটি — তিনি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন, পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হচ্ছে নোবেল।
কিন্তু জানেন কি, সম্মানসূচক অবস্থানে এর পরেই রয়েছে:
২. আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড
৩. মার্কিন কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল
পৃথিবীর ইতিহাসে মাত্র ১২ জন ব্যক্তি আছেন, যারা এই তিনটি সম্মানই পেয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস সেই বিরল ১২ জনের একজন!
বিশ্ব তার সম্মান জানায়, অথচ আমরা…
২০২০ টোকিও অলিম্পিকে, বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত অতিথিদের একজন হিসেবে অলিম্পিক মশাল বহন করেন ড. ইউনুস।
লিওনেল মেসি নিজ হাতে তাঁর সম্মাননা নিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ড. ইউনুসের জন্য।
বিল গেটস নিজে গাড়ি চালিয়ে ইউনুস স্যারকে পুরো সিলিকন ভ্যালি ঘুরিয়ে দেখান।
বিশ্বের ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “মুহাম্মদ ইউনুস সেন্টার”।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় নিয়মিত থাকেন তিনি।
মুসলিম বিশ্বে একমাত্র নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী অর্থনীতিবিদ — ড. ইউনুস।
অথচ দেশের ভেতরে?
৮২ বছরের এই গর্বিত মানুষটিকে ৪০ বারের বেশি হেঁটে উঠতে হয়েছে কোর্টের ৮ তলা এজলাশে, লিফট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইচ্ছাকৃতভাবে।
তাঁকে বলা হয় ‘সুদখোর’। অথচ, সত্য হলো —
গ্রামীণ ব্যাংকে তাঁর এক টাকারও মালিকানা নেই!
সুদ ব্যবসার সাথে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই!
তিনি এমন একজন মানুষ, যার সৃষ্টি — মাইক্রোফাইন্যান্স মডেল — আজ কোটি কোটি মানুষের জীবন পাল্টে দিয়েছে। তাঁর হাত ধরেই উঠে এসেছে ক্ষুদ্র ঋণ ধারণা, যার জন্য তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার।
প্রশ্ন রয়ে যায়:- এই বাংলাদেশে আর কখনো এমন একজন মুহাম্মদ ইউনুস জন্মাবেন?
লেখক:- মুহাম্মদ ইমাদুল হক (প্রিন্স)
গবেষক, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট।