বাবুগঞ্জ চাঁদপাশা এলাকায় এসএসসি পরীক্ষায় বখাটে এক ছাত্রকে খাতা না দেখানো কে কেন্দ্র করে সিহাব আহম্মেদ (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরত্বর জখম করেছে  বখাটেরা। আহাত সিহাব বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি কাজল খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন স্বপন মাস্টার এর ছেলে।

গতকাল ২৮মে দুপুর দেড়টার দিকে পরীক্ষা দিয়ে আসার পথে বাবুগঞ্জ চাঁদপাশা বটতলা বাজারের পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।

আহত সুত্রে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সিহাব আহমেদ বাবুগঞ্জ পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবারে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। ওই কেন্দ্রে অপর পরীক্ষার্থী চাঁদপাশা হাইস্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র মুন্না পরীক্ষার শুরু থেকেই সিহাব আহাম্মেদের খাতা দেখার জন্য ডিস্টার্ব করে আসছে।

প্রত্যেক পরীক্ষায় তাকে খাতা দেখিয়ে সাহায্য না করলে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে মুন্না ও তার সহযোগীরা। আর এরই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষায় মুন্নাকে খাতা না দেখানো কে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে সিহাব ও তার ফুফু শিক্ষিকা কাজল রেখা ও অপর পরিক্ষার্থী আসাদুল ইসলামকে নিয়ে পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মুন্না, সোলেমান, ও মাহির সহ অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিহাবকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে ।

কেশোর সন্ত্রাসী মুন্না, সোলেমান ও মাহির সহ অজ্ঞাত আট দশ জন লোহার রড ও পাইপ দিয়ে সিহাব আহমেদকে এলোপাতারী পিটাতে শুরু করে। পরে আহত ও আহতর ফুফু শিক্ষিকা কাজল রেখার ডাক চিৎকারে বটতলা বাজারের ইমাম নুরুল ইসলাম ও বাচ্চু হাওলাদার সহ স্থানীয়রা ছুটে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় সিহাবকে উদ্ধার করে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বখাটে মাহিরকে স্থানীয় জনতা আটক করে। পরে স্থানীয়রা বখাটে মাহির কে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

বর্তমানে গুরুতর আহত সিহাব আহম্মেদ শেবাচিমের সার্জারি ২ ইউনিটে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।