দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নে অবস্থিত মোংলা বন্দরের অপরপাড় সুন্দরবনের কোলঘেষে যৌনপল্লীর যৌনকর্মী বাড়িওয়ালার স্বামী কতৃক নির্যাতনের শিকার হয়।
ভুক্তভোগী যৌনকর্মী রুমা আক্তার এর সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন আমি এখানে আমার নিজ ইচ্ছায় এসেছি এবং লাইসেন্স করেই এই পতিতাপল্লিতে হামিম খা এর স্ত্রী বাড়িওয়ালা সাথী আপার ঘরে ভাড়াটে হিসাবে প্রথমে উঠি, কিন্তু আমি এখানে আসার পর আমার উপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে যেমন শারীরিক,মানসিক, টাকা পয়সা সহ আমার মতো আর একটি মেয়েকে বাড়িওয়ালার স্বামী হামিম খাঁ একদিন রাতে ড্রিংস(মদ্যপান) করে রাতে বিকট ভাবে নির্যাতন করেছে, পরের দিন সকালে তার গায়ে জ্বর আসছে ঔ মার দেখে আমি ভয় পাই এরপরও আমি তাদের ওখানে ছিলাম পরে এই নির্যাতন সইতে না পেরে স্থানীয় মেম্বর এর সহয়তা নিয়ে ডলি আন্টির বাসায় উঠি এবং এখানে আমি এখন ভালো আছি।
নাম না প্রকাশ করা শর্তে একজন যৌনকর্মী বলেন এখানে কিছু বাড়িওয়ালার স্বামী আছে যারা আমাদের মত অসহায় মেয়েদের উপর নেশা করে রাতে শারীরিক নির্যাতন করে, আমরা তো এখানে পেটের দ্বায়ে আছি, প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন এই সকল নির্যাতন বন্দ হোক।
বাড়িওয়ালার স্বামী হামিম খাঁ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন ঔ মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী খুলনা থেকে আমার বাসায় আসে এবং তিনমাস আমাদের কাছে থাকে, আমরা তাকে খুব যত্ন করতাম, আমার বাড়িতে বেশি কাষ্টমার হওয়ায় এখানে কিছু লোক আছে যারা আমার ভালো সহ্য করতে পারছে না তাই আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা কথা বলাচ্ছে’ , আর আমার এখানে আরো মেয়েরা আছে তাদের আমরা অনেক যত্ন করি, আমার এখান থেকে চলে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই ধরনে মিথ্যা কথা তাকে দিয়ে কেউ বলাচ্ছে আর যে মেয়েটাকে নির্যাতনের কথা বলছে ঔ মেয়েটা আমার শালী সে কিন্তু কারোর কাছে অভিযোগ করেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ আলী খা’র সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে যৌনপল্লীর যৌনকর্মী বাড়িওয়ালার স্বামী কতৃক নির্যাতনের শিকারের ব্যাপারে যানতে চাইলে তিনি বলেন যৌন পল্লির একটা মেয়ে আমাকে মৌখিক ভাবে বলেছিলো এবং পরবর্তীতে তাকে অন্য বাসায় (ডলির) ওখানে এখন মেয়েটি আছে।
বানিশান্তা যৌনপল্লীর যৌনকর্মী নির্যাতনের শিকার
-
হিমাদ্রী সরদার
- আপডেট সময় : ১২:১৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
- ১১৯ খবরটি দেখা হয়েছে
জনপ্রিয়