ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইপিজেড

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৬৯ খবরটি দেখা হয়েছে

পটুয়াখালীতে এবার গড়ে তোলা হচ্ছে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)। এটি বরিশাল বিভাগের প্রথম ইপিজেড। পদ্মা সেতু চালুর পর পটুয়াখালীতে এই ইপিজেড তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বেপজা। আয়তনে পটুয়াখালী ইপিজেড দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইপিজেড। গত জুলাইয়ে এ প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়। কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন।

সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে নির্মিত এ ইপিজেডে ৩০৬টি শিল্প প্লট থাকবে। এতে ১৫৩ কোটি ডলার বা ১৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসতে পারে। আর ইপিজেডটিতে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলে সেখান থেকে বছরে ১৮৩ কোটি ডলার বা ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হবে। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১০৯ দশমিক ৫০ টাকা ধরে এ হিসাব করা হয়েছে।

ইপিজেডটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত ২৯ আগস্ট পটুয়াখালী ইপিজেড প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বরিশালে এখনো গ্যাস–সংযোগ না থাকায় এই ইপিজেডে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ পাওয়া যাবে কি না, সেটি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে বেপজার নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, ইপিজেড এলাকায় গ্যাস থাকলে তা বিনিয়োগের জন্য একটি বাড়তি সুবিধা। তবে গ্যাস ছাড়াও শিল্প স্থাপন সম্ভব। এর উদাহরণ হচ্ছে উত্তরা ও মোংলা ইপিজেড।ভোলা থেকে বরিশালে গ্যাস আনার সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে এই বেপজা কর্মকর্তা বলেন, সেটি বাস্তবায়িত হলে পটুয়াখালী ইপিজেডও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস–সংযোগ পাবে।

বেপজা কর্মকর্তারা জানান, পটুয়াখালী ইপিজেডে হালকা প্রকৌশল, আসবাব, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এটি চালু হলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বেপজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় এই ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

২০১৯ সালের নভেম্বরে বেপজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় এই ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। জেলা সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নে ৪১৮ একর জায়গায় এ ইপিজেড গড়ে তোলা হচ্ছে।

পদ্মা সেতুসহ কয়েকটি নতুন সেতু চালুর কারণে রাজধানীর সঙ্গে পটুয়াখালীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। আবার পটুয়াখালীতে গড়ে তোলা হয়েছে পায়রা সমুদ্রবন্দর। ভবিষ্যতে সরকারের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালী থেকে মোংলা সমুদ্রবন্দরের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার।

পায়রাতে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। পটুয়াখালীর কাছাকাছি এলাকা বাগেরহাটের রামপালেও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। এসব বিবেচনায় পটুয়াখালীতে ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বেপজার কর্মকর্তারা।

জনপ্রিয়

পটুয়াখালীতে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইপিজেড

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পটুয়াখালীতে এবার গড়ে তোলা হচ্ছে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)। এটি বরিশাল বিভাগের প্রথম ইপিজেড। পদ্মা সেতু চালুর পর পটুয়াখালীতে এই ইপিজেড তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বেপজা। আয়তনে পটুয়াখালী ইপিজেড দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইপিজেড। গত জুলাইয়ে এ প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হয়। কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন।

সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে নির্মিত এ ইপিজেডে ৩০৬টি শিল্প প্লট থাকবে। এতে ১৫৩ কোটি ডলার বা ১৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসতে পারে। আর ইপিজেডটিতে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলে সেখান থেকে বছরে ১৮৩ কোটি ডলার বা ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হবে। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১০৯ দশমিক ৫০ টাকা ধরে এ হিসাব করা হয়েছে।

ইপিজেডটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত ২৯ আগস্ট পটুয়াখালী ইপিজেড প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বরিশালে এখনো গ্যাস–সংযোগ না থাকায় এই ইপিজেডে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ পাওয়া যাবে কি না, সেটি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে বেপজার নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, ইপিজেড এলাকায় গ্যাস থাকলে তা বিনিয়োগের জন্য একটি বাড়তি সুবিধা। তবে গ্যাস ছাড়াও শিল্প স্থাপন সম্ভব। এর উদাহরণ হচ্ছে উত্তরা ও মোংলা ইপিজেড।ভোলা থেকে বরিশালে গ্যাস আনার সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে এই বেপজা কর্মকর্তা বলেন, সেটি বাস্তবায়িত হলে পটুয়াখালী ইপিজেডও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস–সংযোগ পাবে।

বেপজা কর্মকর্তারা জানান, পটুয়াখালী ইপিজেডে হালকা প্রকৌশল, আসবাব, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এটি চালু হলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বেপজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় এই ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

২০১৯ সালের নভেম্বরে বেপজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় এই ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। জেলা সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নে ৪১৮ একর জায়গায় এ ইপিজেড গড়ে তোলা হচ্ছে।

পদ্মা সেতুসহ কয়েকটি নতুন সেতু চালুর কারণে রাজধানীর সঙ্গে পটুয়াখালীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। আবার পটুয়াখালীতে গড়ে তোলা হয়েছে পায়রা সমুদ্রবন্দর। ভবিষ্যতে সরকারের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালী থেকে মোংলা সমুদ্রবন্দরের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার।

পায়রাতে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। পটুয়াখালীর কাছাকাছি এলাকা বাগেরহাটের রামপালেও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। এসব বিবেচনায় পটুয়াখালীতে ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বেপজার কর্মকর্তারা।