Dhaka ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দশমিনা বাউফলে কোটি টাকার সেতু এখন শো’পিচ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে দর্শনার্থী কার্ড সাজেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন আজ অমর একুশে বইমেলায় নতুন বই এসেছে ৯৮টি রাজধানীতে ৪৪ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে দাঁতের গর্তে কখন রুট ক্যানেল করাবেন আর কখন ফিলিং করা লাগবে দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকতে মানতে হবে যে নিয়ম রান্নার স্বাদ পূর্ণতা পায় না আদা ছাড়া লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি১ এর ইফতার মাহফিল দোয়া অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু দিবসে জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পটুয়াখালীতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যা ট্রলার চাপায় শিক্ষকের মৃত্যু

দশমিনা বাউফলে কোটি টাকার সেতু এখন শো’পিচ

পটুয়াখালীর দশমিনা-বাউফল উপজেলার মধ্যবর্তী বাঁশবাড়িয়া ও বগী বাজার খালের ওপর নির্মিত সেতু নির্মানের প্রায় ৫ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন খালের দু’ পাড়ের লোকজন। ভূমি অধিগহন সংক্রন্ত মামলা জটিলতার কারনে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান হয়নি তবে আগামী জুনের মধ্যে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হবে বলে বলে জানান এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর।
দশমিনা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর দশমিনা-বাউফল উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ২০১৯-২০২০ সালে দরপত্র আহ্বান করে সেতুটির কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দরপত্র অনুযায়ী ২০২১ সালে সেতুর নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কেটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ৫০৬ টাকা। বগী বাজার খালের দুই পাড়ে রয়েছে অন্তত ১১টি গ্রাম।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দশমিনা-বাউফল সীমানাবর্তী বগী বাজার খালে ওপর সেতু নির্মানের কাজ শেষ। এখন বাকি আছে সংযোগ সড়কের কাজ। আগের রাস্তা থেকে নির্মানাধীন সেতুটি অনেক উঁচু, সেখান থেকে রাস্তার সংযোগ স্থাপনের জন্য কিছু স্ল্যাবের পাডা বসিয়ে পারাপার হচ্ছেন দুই পারের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে লোহার সেতু (আয়রন ব্রিজ) ছিল। লোহার কাঠামোর ওপর সিমেন্টের স্ল্যাব ছিল। ২০১৯-২০২০ সালে নতুন সেতু নির্মানের জন্র পুরনো সেতুটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।
কর্পূরকাঠী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অন্তর চন্দ্র একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমরা কত যে কষ্টে আছি, হ্যাতো আপনারা নিজেদের চোখেই দেখলেন। ব্রিজ করে ফালাইয়া রাখছে, কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়কটা করছেনা। এইয়া লইয়া কইতে কইতে আমরা ক্লান্ত হইয়া গেছি।
বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউয়িন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ব্রিজের পশ্চিম পাশের বাসিন্দা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বাদল জানান, প্রায় সময় এখানে দুর্ঘটনা ঘটে আসছে। আমারা বয়স্ক ও রোগী এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাত ধরে পার করে দেই।
এবিষয়ে বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি ঘোষ বলেন, ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহ জনদুর্ভোগ চরমে। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আক্রশন করছি অনতি বিলম্বে সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মান করে যাতায়েত ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে।
এবিষয়ে দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মান না করায় শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করেন।
ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ এর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে তার বক্তব্যের জন্য ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত বলে ফোন কেটে দেন।
এব্যাপারে এলজিইডি’র পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর জানান, ভূমি অধিগ্রহন মামলা চলমান থাকায় সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান কাজ বন্ধ ছিল তবে আগামী জুনের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা হবে।

দশমিনা বাউফলে কোটি টাকার সেতু এখন শো’পিচ

Update Time : ০৪:৩৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা-বাউফল উপজেলার মধ্যবর্তী বাঁশবাড়িয়া ও বগী বাজার খালের ওপর নির্মিত সেতু নির্মানের প্রায় ৫ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন খালের দু’ পাড়ের লোকজন। ভূমি অধিগহন সংক্রন্ত মামলা জটিলতার কারনে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান হয়নি তবে আগামী জুনের মধ্যে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হবে বলে বলে জানান এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর।
দশমিনা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর দশমিনা-বাউফল উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ২০১৯-২০২০ সালে দরপত্র আহ্বান করে সেতুটির কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দরপত্র অনুযায়ী ২০২১ সালে সেতুর নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কেটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ৫০৬ টাকা। বগী বাজার খালের দুই পাড়ে রয়েছে অন্তত ১১টি গ্রাম।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দশমিনা-বাউফল সীমানাবর্তী বগী বাজার খালে ওপর সেতু নির্মানের কাজ শেষ। এখন বাকি আছে সংযোগ সড়কের কাজ। আগের রাস্তা থেকে নির্মানাধীন সেতুটি অনেক উঁচু, সেখান থেকে রাস্তার সংযোগ স্থাপনের জন্য কিছু স্ল্যাবের পাডা বসিয়ে পারাপার হচ্ছেন দুই পারের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে লোহার সেতু (আয়রন ব্রিজ) ছিল। লোহার কাঠামোর ওপর সিমেন্টের স্ল্যাব ছিল। ২০১৯-২০২০ সালে নতুন সেতু নির্মানের জন্র পুরনো সেতুটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।
কর্পূরকাঠী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অন্তর চন্দ্র একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমরা কত যে কষ্টে আছি, হ্যাতো আপনারা নিজেদের চোখেই দেখলেন। ব্রিজ করে ফালাইয়া রাখছে, কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়কটা করছেনা। এইয়া লইয়া কইতে কইতে আমরা ক্লান্ত হইয়া গেছি।
বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউয়িন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ব্রিজের পশ্চিম পাশের বাসিন্দা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বাদল জানান, প্রায় সময় এখানে দুর্ঘটনা ঘটে আসছে। আমারা বয়স্ক ও রোগী এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাত ধরে পার করে দেই।
এবিষয়ে বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি ঘোষ বলেন, ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহ জনদুর্ভোগ চরমে। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আক্রশন করছি অনতি বিলম্বে সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মান করে যাতায়েত ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে।
এবিষয়ে দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মান না করায় শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করেন।
ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ এর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে তার বক্তব্যের জন্য ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত বলে ফোন কেটে দেন।
এব্যাপারে এলজিইডি’র পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর জানান, ভূমি অধিগ্রহন মামলা চলমান থাকায় সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান কাজ বন্ধ ছিল তবে আগামী জুনের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা হবে।