ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মরদেহ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রিয় স্বজদের হারিয়ে নিহতদের পরিবারে চলছে কান্নার মাতম। এদিকে ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা হয়নি। তবে পলাতক চালক ও হেলপারকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে জানিয়েছে পুলিশ।
ঝালকাঠির রাজপুর উপজেলার বলাইবাড়ি গ্রামের শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন মারা যায় ভয়াবহ এ বাস দুর্ঘটনায়। বাবার বাড়ি বেড়ানো শেষে স্বামীর বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলায় ফিরতে দুই বছরের মেয়ে রিপা মনি ও ছোট ভাই নয়নকে নিয়ে বাশার স্মৃতি নামের ঘাতক বাসটিতে উঠেছিলেন আইরিন আক্তার। কিন্তু রাজাপুর থেকে ঝালকাঠির ছত্রকান্দায় পৌছালে দুর্ঘনায় প্রাণ হারান একই পরিবারের এই তিন সদস্য। দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মধ্যে একই উপজেলার আর দুজনসহ জেলায় মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়। এখনও থামছে না তাদের পরিবাবারে কান্নার রোল। স্বজনহারাদের কান্নায় এলাকাজুড়েই শোকের ছায়া। দুর্ঘটনার পর ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত যাত্রীরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদিকে ঝালকাঠি সদরের খুলনা-বরিশাল মহাসড়কের ছত্রকান্দা এলাকায় পুকুরের পানিতে ডুবে গিয়েছিলো ঘাতক এ বাসটি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মহাসড়কের একেবারে পাশেই বেআইনী ভাবে পুকুর খনন করায় পানিতে ডুবে প্রাণহানীর সংখ্যা বেড়ে যায়।
ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই ঘাতক বাসটির চালক ও হেলপার এখনও পলাতক রয়েছে।
তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে জানিয়ে জেলা পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার কারণ ও সংশ্লিষ্ঠ সবার গাফিতির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে মধ্যেই মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে ঝালকাঠিতে স্মরণকালের ভয়াবহ এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মোট ১৭ জনের মধ্যে ৮ জনের বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায়, ৭ জনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায় এবং ২ জনের বাড়ি বািরশাল জেলায়। নিহতদের মধ্যে ৮জন পুরুষ, ৬জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছে।