ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামানত হারাচ্ছেন মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা: বিসিসি নির্বাচন

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • ৬৯ খবরটি দেখা হয়েছে

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কাছাকাছি প্রার্থীর থেকে দ্বিগুন ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

তিনি পেয়েছেন ৮৭ হাজারর ৮০৮ ভোট, আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
সোমবার (১২ জুন) রাতে এ ফলাফল ঘোষনা করেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান, এ নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫১.৪৬%।

অর্থাৎ ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৭ ভোটের মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার ১৭৭ ভোট পড়েছে। আর প্রদত্ত এ ভোটের মধ্যে ৪২১ টি ভোট বাতিল হয়েছে, সেই হিসেবে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৬ টি।

নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে বলে জানান ।

আর এ তথ্যানুযায়ী মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যেককে কমপক্ষে

জামানতের টাকা ফেরত নিতে হলে ১৭ হাজার ৭৭২ টির মতো ভোট পেতে হবে। কিন্তু আওয়ামীলীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ছাড়া আর কেউই এর ওপরে ভোট পাননি। তাই বাকী ৫ প্রার্থীর জামানত হারাতে হচ্ছে। যে টাকা নির্বাচন কমিশনের আয়ের খাতে চলে যাচ্ছে।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সবথেকে কম ৫২৯ টি ভোট পেয়েছেন হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আসাদুজ্জামন। এর ওপরে আছেন হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আলী হোসেন হাওলাদার, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ ভোট, তার ওপরে থাকা জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের মিজানুর রহমান বাচ্চু পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬ ভোট।

আর জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস পেয়েছেন ৬৬৬৫ ভোট এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন পেয়েছেন ৭৯৯৯ ভোট।

এদিকে আর এ অবস্থা যে শুধু মেয়র প্রার্থীদের তাও নয়, ৫ ডজনেরও অধিক কাউন্সিলর প্রার্থীকেও জামানত হারাতে হবে। বরিশালের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকরাত মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, জামানত জব্দের আইন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য একই।

তবে মেয়রের ভোটের হিসেব হবে ৩০ টি ওয়ার্ডের মোট কাস্টিং ভোটের ওপর আর কাউন্সিলরদের টা হবে প্রতি ওয়ার্ডের মোট কাস্টিং ভোটের ওপর।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী আর নিয়মানুযায়ী, এবারের নির্বাচনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০ টি ওয়ার্ডে ১১৮ সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪৭ জন এবং ৪১ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

অর্থাৎ জামানত বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছেন মোট ৬২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। যেখানে সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে সবথেকে বেশি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে, আর একজনও হিসেবে নেই ৮,৯,১০ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

অপরদিকে সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ (১৩,১৪,১৫ নম্বর ওয়ার্ড) নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, আর একজনও হিসেবে নেই সংরক্ষিত ৭,৮,১০ নম্বর ওয়ার্ডে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

জামানত হারাচ্ছেন মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা: বিসিসি নির্বাচন

আপডেট সময় : ১২:৪২:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কাছাকাছি প্রার্থীর থেকে দ্বিগুন ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

তিনি পেয়েছেন ৮৭ হাজারর ৮০৮ ভোট, আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
সোমবার (১২ জুন) রাতে এ ফলাফল ঘোষনা করেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান, এ নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫১.৪৬%।

অর্থাৎ ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৭ ভোটের মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার ১৭৭ ভোট পড়েছে। আর প্রদত্ত এ ভোটের মধ্যে ৪২১ টি ভোট বাতিল হয়েছে, সেই হিসেবে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৬ টি।

নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে বলে জানান ।

আর এ তথ্যানুযায়ী মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যেককে কমপক্ষে

জামানতের টাকা ফেরত নিতে হলে ১৭ হাজার ৭৭২ টির মতো ভোট পেতে হবে। কিন্তু আওয়ামীলীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ছাড়া আর কেউই এর ওপরে ভোট পাননি। তাই বাকী ৫ প্রার্থীর জামানত হারাতে হচ্ছে। যে টাকা নির্বাচন কমিশনের আয়ের খাতে চলে যাচ্ছে।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সবথেকে কম ৫২৯ টি ভোট পেয়েছেন হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আসাদুজ্জামন। এর ওপরে আছেন হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আলী হোসেন হাওলাদার, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ ভোট, তার ওপরে থাকা জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের মিজানুর রহমান বাচ্চু পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬ ভোট।

আর জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস পেয়েছেন ৬৬৬৫ ভোট এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন পেয়েছেন ৭৯৯৯ ভোট।

এদিকে আর এ অবস্থা যে শুধু মেয়র প্রার্থীদের তাও নয়, ৫ ডজনেরও অধিক কাউন্সিলর প্রার্থীকেও জামানত হারাতে হবে। বরিশালের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকরাত মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, জামানত জব্দের আইন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য একই।

তবে মেয়রের ভোটের হিসেব হবে ৩০ টি ওয়ার্ডের মোট কাস্টিং ভোটের ওপর আর কাউন্সিলরদের টা হবে প্রতি ওয়ার্ডের মোট কাস্টিং ভোটের ওপর।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী আর নিয়মানুযায়ী, এবারের নির্বাচনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০ টি ওয়ার্ডে ১১৮ সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪৭ জন এবং ৪১ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

অর্থাৎ জামানত বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছেন মোট ৬২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। যেখানে সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে সবথেকে বেশি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে, আর একজনও হিসেবে নেই ৮,৯,১০ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

অপরদিকে সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ (১৩,১৪,১৫ নম্বর ওয়ার্ড) নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, আর একজনও হিসেবে নেই সংরক্ষিত ৭,৮,১০ নম্বর ওয়ার্ডে।